ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ী
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ (বুধবার) বলেছেন, আল-আকসা তুফান অভিযানের ঐতিহাসিক ঘটনাটি ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে প্রত্যাখ্যান করার ঘটনা। ঘটনাটি এই অঞ্চলে মার্কিন রাজনীতির ছক উলটপালট করে দিতে সক্ষম হয়েছে। ইনশাআল্লাহ যদি এই তুফান চলতে থাকে তাহলে এই ছক মুছে যাবে।
আজ ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের হাজার হাজার সদস্য সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, এই ৫০ দিনে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজেডি প্রায় ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি অপরাধের সংক্ষিপ্তসার। তাদের জানা উচিত আল্লাহর ইচ্ছায় পরিস্থিতি এমন থাকবে না এবং আল-আকসা তুফান নিঃশেষ হবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের কেউ কেউ এই বলে মিথ্যাচার করে যে, ইরান ইহুদি ও ইহুদিবাদীদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করতে চায়। না, আমরা কখনো তা বলিনি। আমরা বলি জনগণের রায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ফিলিস্তিনি জনগণের ভোটে যে সরকার গঠিত হবে, সেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে অন্য দেশ থেকে সেখানে আসা ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে থাকতে পারবে নাকি সেখান থেকে তাদেরকে চলে যেতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র পাল্টে গেছে। এই পরিবর্তনটা ঘটেছে প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট জিতেছে। ধীরে ধীরে প্রাধান্য বিস্তারকারী এই নতুন মানচিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, ‘ডি-আমেরিকানাইজেশন’। ডি-আমেরিকানাইজেশন মানে এই অঞ্চলে আমেরিকার আধিপত্য প্রত্যাখ্যাত হওয়া।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী জোর দিয়ে বলেন, একটি ‘নয়া মধ্যপ্রাচ্য’ গঠনের বিষয়ে আমেরিকার পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে: হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা ছিল তাদের, কিন্তু হিজবুল্লাহ ১০ গুণ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তারা ইরাক ও সিরিয়াকে গ্রাস করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। তারা বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ‘দুই-রাষ্ট্র’ ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলের পক্ষে ফিলিস্তিন ইস্যুটির ফয়সালা করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি।
Leave a Reply